রাখাইনে করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের লিজ দেওয়ার তৎপরতার প্রতিবাদে রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তারা বলছে, এই সিদ্ধান্ত জনমতের বিরুদ্ধে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। শনিবার (৭ জুন) বিকেলে জোটের অন্যতম নেতা, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স জানান, আগামী ২৭ জুন জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে রোডমার্চ শুরু হবে। কর্মসূচি চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। এতে অংশ নেবে বাম, প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক দল-সংগঠনগুলো।
রুহিন হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে বিদেশি বিশেষজ্ঞ রাখা যেতে পারে, কিন্তু বন্দর লিজ দেওয়া যাবে না। এটা দেশের মানুষের সম্মান ও স্বাধীনতার ওপর আঘাত।’ এদিকে ঈদের আগের দিন প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় বামজোট এক বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়, ভাষণে জনমতের প্রতিফলন ঘটেনি। কেন ডিসেম্বর নয়, এপ্রিলে নির্বাচন—সে ব্যাখ্যাও পরিষ্কার নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘করিডোর ও বন্দরের লিজ ইস্যুতে যেভাবে আন্দোলনকারীদের প্রতিরোধের কথা বলা হয়েছে, তা মব সন্ত্রাসকে উসকে দেওয়ার শামিল। দেশবাসী এমন বক্তব্য মেনে নেবে না।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর লাভজনক। বিদেশিদের কাছে লিজ দেওয়ার মানে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলা। এজন্যই রোডমার্চ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। কোনো হুমকি-ধমকিতে দেশপ্রেমিক জনগণ এই আন্দোলন থেকে সরবে না।
জোটের ভাষ্য, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচন চায়। অথচ প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের এপ্রিলের কথা বলছেন। রোজা, পরীক্ষা, বর্ষা ও ধান কাটার মৌসুমে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। তারা বলছে, এই বিলম্বের অর্থ হচ্ছে—বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা। এটি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা, যা দেশকে দীর্ঘমেয়াদি সংকটে ফেলতে পারে।
বিবৃতিতে সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী)’র মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশু এবং সমাজতান্ত্রিক পার্টির আব্দুল আলীর নাম উল্লেখ করা হয়। জোট মনে করে, বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থে এপ্রিল নির্বাচন ঘোষণার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন।