আইপিএল:: চ্যাম্পিয়ন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচ জন ছাড়ালেন বিশ। কিন্তু পঞ্চাশ ছুঁতে পারলেন না কেউই। সংগ্রহটা প্রত্যাশিত বড় হলো না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ধারাভাষ্যকার ম্যাথু হেইডেন বলছিলেন, ‘৩০ রান কম হয়েছে।’ তবে চমৎকার বোলিংয়ে সেটিকেই যথেষ্ট করে তুললেন বেঙ্গালুরুর বোলাররা। পাঞ্জাব কিংসের অপেক্ষা বাড়িয়ে প্রথমবারের মতো আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। আহমেদাবাদে মঙ্গলবার অষ্টাদশ আসরের ফাইনালে বেঙ্গালুরুর জয় ৬ রানে।

একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলের শুরু থেকে একই দলের হয়ে খেলছেন যিনি, মৌসুমের পর মৌসুম ব্যাট হাতে অতিমানবীয় ধারাবাহিকতা যার, টুর্নামেন্টটির ইতিহাসের সফলতম ব্যাটসম্যান ভিরাট কোহলি ১৮ বারের চেষ্টায় অবশেষে পেলেন শিরোপার স্বাদ, দীর্ঘ অপেক্ষা ঘুচল বেঙ্গালুরুর।

ম্যাচ শেষ হতেই হাঁটু গেঁড়ে মাটিতে বসে পড়েন কোহলি, নিচু করে থাকেন মাথা। একটু পর তাকে ঘিরেই উদযাপনে মেতে ওঠে বেঙ্গালুরুর অন্য ক্রিকেটাররা। বেঙ্গালুরুর সাবেক ব্যাটসম্যান, দক্ষিণ আফ্রিকান গ্রেট এবি ডি ভিলিয়ার্স মাঠে নেমে জড়িয়ে ধরেন বন্ধু কোহলিকে।

এই মাঠেই একদিন আগে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জিতেছিল পাঞ্জাব। শিরোপা লড়াইয়ে বেঙ্গালুরুর ইনিংস ১৯০ রানে থামল যখন, তাদের নিয়ে বাজি ধরার লোক হয়তো খুব বেশি ছিল না। ‘২০-২৫ রান’ কমে হয়ে গেছে বলেই আলোচনা হচ্ছিল বেশি। উইকেটও ব্যাটিংয়ের জন্য ছিল ভালো।

শেষ পর্যন্ত ফাইনালের চাপটাই হয়তো নিতে পারল না পাঞ্জাব। ম্যাচের শেষ চার বলে শাশাঙ্ক সিংয়ের তিনটি ছক্কা ও একটি চারের পরও ১৮৪ রানে আটকে গেল শ্রেয়াস আইয়ারের নেতৃত্বাধীন দল। প্রথম শিরোপার অপেক্ষা আরও বাড়ল ফ্র্যাঞ্চাইজিটির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *