বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুদিন ৩০ মে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করার দাবি উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির এক সমাবেশ থেকে। শুক্রবার নিউ ইয়র্কে ‘নিউ ইয়র্ক স্টেট বিএনপি’র উদ্যোগে ডাইভার্সিটি প্লাজায় আয়োজিত কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে প্রবাসীরা অংশ নেন। জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ।তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং দেশের ভেতর থেকেই যুদ্ধ পরিচালনায় অংশ নিয়েছিলেন।” গিয়াস দাবি করেন, “পঁচাত্তরের পর রাজনৈতিক সংকটে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে বহুদলীয় রাজনীতি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।”
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান। তিনি ৩০ মে-কে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করার দাবি জানান। লন্ডন থেকে টেলিফোনে যুক্ত হয়ে বিএনপির উত্তর আমেরিকা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন, “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নিউ ইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মো. অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান সাঈদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জসিমউদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, কোষাধ্যক্ষ জসীম ভূঁইয়া, মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাঈদ আহমেদ ও এম এ বাতিন, যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী এবং যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জনি।
এছাড়া ‘জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী’র উদ্যোগে পৃথক এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ‘তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি মহান’ শিরোনামে। এতে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, জাকির এইচ চৌধুরী ও আবু সাঈদ আহমেদ। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক দল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। বিএনপি দিনটি তার ‘শাহাদাত দিবস’ হিসেবে পালন করে।