আওয়ামীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে জাতিসংঘের সামনে প্রবাসীদের বিক্ষোভ সমাবেশ

উপমহাদেশের প্রাচীন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী, গণমানুষের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ,সেন্ট মার্টিন,পোর্ট ও করিডোর দেয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ,আওয়ামী পরিবার,সকল সহযোগীর অংগসংগঠন সমুহসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক,মানবাধিকার সংগঠন এবং ডায়াসপোরার অন‍্যান‍্য সংগঠনের উদ্দোগে নিউইয়র্কের ম‍্যানহাটনের ৪৭ ষ্টীট ও ১ম এভিনিউতে গত সোমবার,১৯ মে,জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন‍্যতম উপদেষ্টা ও বাকসু”র সাবেক জিএস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.প্রদিপ রন্ধন কর-এর সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসিব মামুনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মুলধারার রাজনৈতিক এমএ সালাম,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড.সিদ্দিকুর রহমান,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রমেশ নাথ,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দীন দেওয়ান,বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি,,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মোঃবখতিয়ার আলী,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এমএ করিম জাহাঙ্গীর,শেখ কামাল পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র এর সভাপতি ডাঃমাসুদুল হাসান,আওয়ামীলীগ নেতা ও শেখ হাসিনা মন্ত্রের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জালান উদ্দিন জলিল,আওয়ামীলীগ নেতা শাহানারা সিদ্দিক,আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন,আওয়ামী লীগ নেতা আকতার হোসেন,আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেন গজনবী,,নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান মিয়া,সহ সভাপতি শেখ আতিকুল ইসলাম,সহ সভাপতি আবুল কাশেম ভূঁইয়া,বংগবন্ধু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের মিয়া,নিউইয়র্ক সিটি আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুর রহমান রফিক,সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী,কানেক্টিকাট ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমেদ চৌধুরী,মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুমানা আক্তার,আওয়ামী লীগ নেতা একে চৌধুরী,,যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান,সিলেট যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী,যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শহীদুল ইসলাম,যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নেতা খন্দকার জাহেদুল ইসলাম, তুলার.ফারুক,রিদয়,আবু জাফর ,শাখাওয়াত হোসেন চজ্ঞল ও শাহ মাহিনসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন ড. ইউনুস, ও আসিফ নজরুলদের ব্রিটেনে অবাঞ্চিত ঘোষনা,আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করে দিলেই শেষ নয়, আওয়ামীলীগ আর দিগুন শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে,অতীত ইতিহাস তাই বলে, উল্লেখ করে বক্তারা বলেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে বাংলার জনগণের সাথ প্রবাসীরাও হতবাক ও ক্ষুব্ধ। আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। যে দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, আজ স্বাধীন দেশে সেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে জনগণের ম্যান্ডেটহীন অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বাংলার মাটিকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর উর্বর ভূমিতে পরিণত করতে চায়। বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ মানে হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও মূলবোধকে নির্বাসিত করা এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের নগ্ন উল্লম্ফনকে প্রশয় দেওয়া। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছে বিশ্বময় প্রবাসীরা বলে দাবি করেন।

সভায় নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে আরোও বলেন,শুধুমাত্র নিজের ব্যক্তিগত ক্ষোভের শোধ নিতেই নাটক সাজাতে এতোকিছু করলো ইউনুস । সরকারপন্হী কিছু ছাত্রনেতা আর কিছু সুবিধাবাদী ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের রাস্তা দখলে সাবেক এনজিও কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত একটি সরকার যদি দেশের একটি প্রবীনতম রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে তবে ধরে নিতে হবে বাংলাদেশে নতুন উগ্রবাদি ফ্যাসিবাদের উথ্থান নিশ্চিত হলো। যারা কথায় কথায় জার্মানির উদাহরন টানেন তাদের বলবো বার্লিন পার্লামেন্ট এ ১৯৩০ দশকের আকা হিটলারের ছবিটা ঝুলিয়ে রাখার ইতিহাসটা জানবেন। আইনি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ছাড়া দলটির নিষিদ্ধ করা ইউনূসের ব্যক্তিগত ক্ষোভ ছাড়া আর কিছু নয়। শুধুমাত্র নিজের ব্যক্তিগত ক্ষোভের শোধ নিতেই নাটক সাজাতে এতোকিছু করলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *